Ticker

6/recent/ticker-posts

জ্বীনের আজব ঘটনা| jiner golpo | jin er ghotona । Some incidents of jinn

 

জ্বীনের আজব ঘটনা| jiner golpo | jin er ghotona । Some incidents of jinn

  • জ্বিন এর হায়াত লম্বা আর মানুষের হায়াত কম।

মানুষের হায়াত সামান্য । সাধারণত মানুষ ৫০,৬০ বা ৭০ বছর হায়াত পেয়ে থাকে।আর জ্বিনের হায়াত হাজার হাজার বছর।ইবলিসের হায়াত কেয়ামত পর্যন্ত,যা সে আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছে।
জ্বীনের আজব ঘটনা, jiner golpo, jin er ghotona,Some incidents of jinnজিনের দেশ,জিনের ভিডিও,জিনের বাদশা,জিনের কাজ কি,জিন কোথায় থাকে,জিনের সাথে মানুষের প্রেম,জিনের খাবার কি,কোহেকাফ শহর কোথায়,কুকাপ শহর,What does Allah say about jinn,Do Muslims worship jinn,Who is the father of jinn,What is the food of jinn,How many types of jinn are there,What is jinn in Islam,What does the Quran say about jinn,How many times are jinn mentioned in Quran,How many types of jinn are there in Islam,Who is the first jinn,jinn in quran,Some incidents of jinn,জিন কতটুকু শক্তিশালী,jinn


রেওয়ায়েতে আছে, ইবলিসের নাতির ঘরের পতি নবিজীর কাছে এসে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়েছে।তার মানে লক্ষাধিক নবি রাসুল গণের সাথে তার মুলাকাত হয়েছে।

সে নবিজীর কাছে এসে বলে- আল্লাহর নবী ,ঈসা নবী আমাকে বলেছেন তুমি তো অনেক লম্বা হায়াত পেয়েছো, তুমি যদি বিশ্ব নবীকে পাও, তাহলে আমি ঈসার পক্ষ থেকে বিশ্ব নবীকে সালাম দিয়ো, তো নবী ঈসার সালাম নিয়ে আসছি। হায়াতটা কত লম্বা। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) থেকে রেওয়ায়াত - হযরত আয়েশা বলেন, এই জ্বিন নবীজীর কাছে এসে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে কুরআন পড়া শিখেছে।নবিজী তাকে কুরআনের মুকাম্মাল মুকাম্মাল সূরা মুখস্থ করিয়েছেন।আর সে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে নবিজীর হায়াতে।তার মৃত্যুর পর নবীজী হয়রত আয়েশাকে বলেছেন, আয়েশা ঐ যে হামা যে জ্বিনটা এসে মুসলমান হয়েছিলো,সে মারা গিয়ে জান্নাতে পৌঁছে গেছে।কত লম্বা হায়াত! আর আমাদের হায়াত কম। এরপরও মানুষের দাম বেশি। আলহামদুলিল্লাহ।




  • জ্বিন যে কোন প্রাণীর রুপ ধারণ করতে পারে


মানুষ বিভিন্ন রুপ ধারণ কে পছন্দ করে, তাই এ উন্নত বিশ্বে এমন পোষাক বের হয়েছে,যার দাম লক্ষাধিক ডলার। এগুলো পরলে মানুষকে কুমীর দেখা যাবে, বাঘ দেখা যাবে যদিও মানুষের লক্ষ ডলার খরচ করতে হয়।

বিপরীতে জ্বিন জাতি। আল্লাহ তায়ালা তাদের এমন ক্ষমতা দিয়েছেন,যারা অন্য কোন প্রানীর আকৃতি ধারণের জন্য কোন টাকা-পয়সা খরচ করতে হয় না। 


What is jinn in Islam :

يتشكل بأشكال مختلفة একেক সময় জ্বীন একেক রুপ ধারণ করবে। 

কখনো মানুষ, কখনো বিড়াল, কখনো সাপ আর কখনো অন্য কোন প্রানীর আকৃতি ধারণ করবে, কখনো পাখি হয়ে উড়বে। 


দারুল উলূম দেওবন্দ মাদ্রাসায় মানুষের  রূপ ধারণ করে জ্বীন আলেম হওয়ার ঘটনা

একজন দেওবন্দী আলেম বলেন, আমাদের দেওবন্দে পড়া শেষে পাশে বসা এক ভাইকে বললাম, ভাই ,তোমার ঠিকানা টা দাও,যা দিয়ে তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারি। উত্তর সে বলল ভাই তোমার কাছে একটি গোপন রাজ প্রকাশ করছি- দারুল উলুম দেওবন্দে মানুষ রুপে লেখা পড়া করলেও  আমি একটা জ্বিন। তোমার পাশে বসে বসে ইলম হাসিল করেছি তাই তোমাকে ঠিকানাও দিতে পারি, কিন্তু কোন মানুষ ডাক পিয়ন দিয়ে চিঠি পাঠাতে পারবে না বরং এর জন্য জ্বিন ডাক পিয়ন প্রয়োজন। তুমি ভুল না বুঝো ,তাই এ গোপন রাজ প্রকাশ করে দিলাম।তার মানে একটি জ্বিন মানুষের আকৃতি ধারণ করে ইলম হাসিল করেছে।


সাপে রূপ ধারণকরা জ্বীনের মৃত্যুুুর ঘটনা

জ্বিন যেমন মানুষের আকৃতি ধারণ করতে পারে তদ্রুপ কখনো কখনো ভয়ংকর প্রাণীর আকৃতি ধারণ করতে পারে। 

শাহ্ আহলুল্লাহ নামে এক বুযুর্গ ছিলেন। একদিন লাঠি হাতে নিয়ে বসে আছেন। এমন সময় সাপ একটি সামনে এসে ফনা তুলে,তাই তিনি লাঠি আঘাত করেন। সাপটি মারা যায়। 

আসলে এ সাপটি ছিলো একটা জ্বিন‌। সাপটি মারা গেছে দরহাকিকত জ্বিন মারা গেছে। এই জ্বিনের ভাই বেরাদর আত্মীয় স্বজন উনাকে গ্রেফতার করে জ্বিনের রাজ্যে নিয়ে যায়। তাদের আদালতের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়।

বিচারক ফায়সালা দেয় যে যেহেতু তিনি একটি প্রাণ হত্যা করেছে আর জানের বদলা জান দিতে হয়,তাই তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হোক।

এই মজলিসের ভিতরে একজন সাহাবী জ্বিন হাজির ছিলো। যে নবিজীকে পেয়েছে, সে বলতেছে سمعت عن النبى صلى الله عليه وسلم  আমি আল্লাহর রাসূলের কাছ থেকে শুনেছি, কোন জ্বিন যদি কোন ভয়ংকর রূপ ধারণ করে আর কেউ না চেনে তাকে হত্যা করে, তাহলে সেটা হত্যা হিসেবে বিবেচিত হবে না।এটা খাতা বা ভূল হবে।সুতরাং ইচ্ছা করে মারা আর ভূল করে মারা এক নয়।তিনি ওলির সন্তান , তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া তো দূরের কথা তাকে সোনার পালাকিতে করে বাড়ি পৌছে দিয়ে আসো। এ সাহাবী জ্বিনের  সাক্ষীতে তাকে বাড়ি পৌছেঁ দেওয়া হয়।এরপর থেকে হাজারো জিন্নাত উনার কাছে মুরিদ ‍ছিলো।


  • দৈহিকভাবে জিন শক্তিশালী

জ্বীন জতি অল্প সময়ে অনেক কাজ করতে পারে কেননা দৈহিকভাবে জিন শক্তিশালী।এর বিপরীতপক্ষে মানুষ।পয়গম্বর সুলাইমান আঃ ও বিলকিস রানীর বিবাহের সময়কালে সুলাইমান আঃ জিনের মাধ্যমে অনেক কাজ করিয়েছেন। যেমন জ্বিনের মাধ্যমে উনার রাজত্বের প্রধান ফঠক থেকে নিয়ে উনার রাজমহল পর্যন্ত সোনা-রূপা ও মনি-মুক্তা দিয়ে রাস্তা তৈরি করান জিনের মাধ্যমে।

এখন প্রশ্ন হলো মানুষ শ্রেষ্ঠ নাকি জ্বিন ? এ উত্তর নিয়ে পরবর্তীতে পোস্ট হবে ইনশাল্লাহ।


Post a Comment

0 Comments