Ticker

6/recent/ticker-posts

হাদিসে আলোকে মুমিনের ৪ টি গুণ | Qualities of a true believer

 হাদিসে আলোকে মুমিনের কয়েকটি  | Qualities of a true believer

যে সব  গুণ থাকলে একজন মুসলমাকে েকোন শক্তি পরাজিত করতে পারবেনা।

এক. আমানতের হেফাজত | Custody of Deposits

দুই. সত্য বলা | telling the truth

তিন . ভালো ব্যবহার | good manners

চার. হালাল খাবার | Halal food

আমাদের জীবনে আমাদের চারিত্রিক উন্নতি আমাদের জীবনের উন্নয়নের উন্নতির সব চাইতে বড় সম্বল।

শিক্ষা দিক্ষার উন্নতি, অর্থের উন্নতি, ক্ষমতার উন্নতি, অস্ত্রের উন্নতি ; বড় উন্নতি নয় বরং চরিত্রের উন্নতি হলো মানুষের জীবনে সব চাইতে বড় উন্নতি।

☘️ আমাদের পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চরিত্রের শিক্ষক হয়েই এই পৃথিবীর মাটিতে আগমন করেছিলেন।  আল্লাহর নবী বলেন, بعثت معلما আমি শিক্ষক হয়ে আগমন করেছি।

🔥 নবিজী কি শিক্ষা নিয়ে এ পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন?

☘️ উত্তম চরিত্রের তালিম নিয়ে নবিজী এ দুনিয়াতে আগমন করেছেন।

✍️ আর আল্লাহর রাসূলের কাছ থেকে সাহাবায়ে কেরাম  -রেজওয়ানুল্লাহি আজমাইন-  চরিত্রের গুনগুলো গ্রহণ করার কারণে জাহেলিয়াত মুর্খতার যুগ স্বর্ণ যুগে রূপান্তরিত হয়ে ছিলো।

সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর রাসূলের কাছে যে সকল চরিত্র নিয়েছিলেন, তন্মধ্যে চারটি চরিত্র এমন যার ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল বলেন, তোমরা যদি এ চারটি চরিত্র ধরে রাখতে পারো, তাহলে তোমরা লাঞ্ছিত হবে না, পদসখলিত হবে না, পৃথিবীর কোন শক্তি তোমাদের কে পরাস্ত করতে পারবে না। তোমাদের সফলতার জন্য এ গুনগুলো যথেষ্ট।

এ চারটি চরিত্রিক গুনের প্রথম গুন হলো حفظ امانة আমানতদারি। আমানতদারি এমন একটা গুন যার ব্যাপারে নবীজী বললেন, যার আমানতদারি নাই তার ঈমান নাই।আর যার আমানতদারি আছে,তার ঈমান আছে لا إيمان لمن لا امانة له  যার ভিতরে আমানতদারি নাই, তার ঈমান নাই।

পৃথিবীতে যত নবী আগমন করেছিলেন, তাদের থেকে নিয়ে আমাদের নবী পর্যন্ত সবাই আমানতদার ছিলেন।সব নবী আমানতদার ছিলেন, কোন নবী খেয়ানতকার ছিলেন না। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আমানতদার ছিলেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

আমাদের নবী এমন আমানতদার ছিলেন যে, দুশমন পর্যন্ত তাদের মাল দৌলত জমা রাখত।

new waz,top 10 waz,new waz bangla,bangla new waz,sera waz, bangla waz mahfil, waz, tafsir


একারণেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের সময়ে তাদের জমা রাখা ধন দৌলত বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য হযরত আলী রাঃ কে জিম্মাদারী দিয়েছিলেন। নবীজী দেশ ছেড়ে দেওয়ার সময়েও আমানতের হেফাজত করেছেন।

এই আমানতদারির গুনটা মুসলমানের শক্তি। কারণ এ গুনের ভিতরে আছে ঈমানী শক্তি। আর এই গুন না থাকলে, তার ঈমান নাই বলে ঘোষণা আছে যে, যার আমানতদারির গুন নাই, তার ঈমান নাই।

আমাদের সমাজে এখন সর্বত্র আমানতের খিয়ানত খুব বেশি। ব্যবসা বাণিজ্য, চাকরি বাকরি, রাজনীতি সর্বত্র আমানতের খিয়ানতের প্রতিযোগিতা চলছে। দুই নাম্বার জিনিস দিয়ে দেশ ভরে গেছে। খেয়ানতের কারণে মুসলমানের ঈমানী শক্তি দূর্বল হয়ে গেছে।

✍️ আগের যামানার মানুষ এরকম আমানতদার ছিলো, রাস্তায় কিছু পাইলেও আহাল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য পেরেশান থাকত, কিন্তু বর্তমানে আমানতের হেফাজত করবে তো দূরের কথা বরং কে কার সম্পদ আত্মসাৎ করতে পারে, সেই প্রতিযোগিতায় ।



Post a Comment

0 Comments